সারাদেশ: পটুয়াখালীর বাউফলের সেই কি’শোরী (১৪) বিয়ের এক দিন পরই চেয়ারম্যানকে তা’লা’ক দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তা’লা’কের পরের দিনই প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ঐ কি’শোরী। গত রবিবার রমজানের মামাবাড়িতে সেই আগের কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তা’লা’ক দেয় কি’শোরীটি।





জানা যায়, বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামাশ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছে মেয়েটি। চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার উপজে’লা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শাহীন হাওলাদারের এ বিবাহকাণ্ডে উপজে’লা আওয়ামী লীগ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। উপজে’লা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজে’লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শাহীন হাওলাদারের কার্যকলাপে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিব্রত। আমি নিজেও বিব্রত ।





তা’লা’ক দেওয়ার বি’ষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কি’শোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চা’পসহ আইনি জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কি’শোরীর কাছ থেকে তা’লা’কনামা রেখেছেন। অবশ্য ঐ কি’শোরী বলেছেন, রবিবার তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ঐ বিবাহকাণ্ডে শাহীন চেয়ারম্যানের বি’রুদ্ধে বাল্যবিবাহের অ’ভিযোগ প্রশ্নে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পটুয়াখালী জে’লা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।





সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মে মাসে কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার ঐ কি’শোরীর সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়। ঐ বিয়েতে সম্মতি ছিল না মেয়েটির। তাছাড়া মেয়েটির সঙ্গে তার গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বি’ষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল, কি’শোরী ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্ব’ন্দ্ব চলছে।





গত শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভ’য় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সোহেল ও কি’শোরীর বিয়ে বিচ্ছেদ করান চেয়ারম্যান। সালিশ বৈঠকে বসে কি’শোরী তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান কি’শোরীকে দেখে পছন্দ করেন। পরে কি’শোরীর সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।