প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘সীমিত আকারের লকডাউন’ শেষ হচ্ছে আজ। এরপর আগামীকাল ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’, চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। এই ৭ দিন বিধিনিষেধ কার্যকর করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে চালু থাকবে গার্মেন্টস ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।





গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে সর্বাত্মক লকডাউনের সময় সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হলেও এই বৈঠকের মাধ্যমে সেই কঠোর অবস্থান থেকে অনেকখানি সরে এসেছে সরকার।





বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে খোলা থাকবে গার্মেন্টস শিল্প-কারখানা, বন্দর, খুব সীমিত পরিসরে ব্যাংক ও কোরবানীর পশুর হাট। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও খোলা থাকবে, তবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট।





এর আগেও কঠোর লকডাউন কথা বলে শেষ পর্যন্ত অনেক ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে সরকার। এবার তাই হলো। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কোভিড নিয়ন্ত্রণে গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য। তিনি বলেন, লকডাউনে সবার কিছু না কিছু ক্ষতি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে প্রত্যেকবারই গার্মেন্টসের ব্যাপারে আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেন?





অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া হলেও মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করার কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, ১-৭ জুলাই খুবই কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি আমরা। মানুষ যেন অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে না পারে, সেজন্য পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাস্তায় টহল দেবে।





তিনি আরও বলেন, আগেরবার সর্বাত্মক লকডাউনের সময় মুভমেন্ট পাসের সুযোগ নিয়ে অনেকে বাইরে অবস্থান করেছেন। তাই এই সুযোগটাও এবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সবাই বাসায় থাকবে, আমরা সেটাই চাই। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন- যেমন মরদেহের দাফন-কাফন করা, কোনো রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া, এসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই দায়িত্বরত পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে ছাড় দেবেন।