অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। বিলীন হয়ে কাশিমবাজার গ্রামের গেছে ৫০ টি ঘর।





অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। বিলীন হয়ে কাশিমবাজার গ্রামের গেছে ৫০ টি ঘর।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের কৃষকরা তোষাপাট কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। মাঝি-মাল্লারা নৌকা মেরামত এবং পরিচর্যা শুরু করেছে।





বেলকা চরের আব্দুর রউফ মিয়া জানান, যে হারে অবিরাম বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তাতে করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আগাম বন্যা দেখা দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার এক বিঘা তোষাপাট ক্ষেতে চার দিনের ব্যবধানে হাটু পানি জমে গেছে। সে কারণে তোষাপাট কাটতে হচ্ছে।





হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চলমান বৃষ্টি আগাম বন্যার লক্ষণ। ইতিমধ্যে তিস্তার শাখা নদী সমুহ পানিতে ভরে গেছে। নিচু এলাকায় পানি জমে গেছে। উজানের পানি গড়ে এলে আরও পানি বৃদ্ধি পাবে। চারদিনের ব্যবধানে কাশিমবাজার গ্রামে ৫০টি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।





উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানদের নিয়ে আগাম বন্যার প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। এজন্য বরাদ্দও প্রস্তুত রয়েছে।