করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধ সেতু মহাসড়কে অবাধে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। এছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে নিম্নআয়ের মানুষজন যাতায়াত করতে দেখা গেছে। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত মহাসড়কে বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়।





ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দেদারসে চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন, খোলা ট্রাক ও বাস। এসব যানবাহন ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গের ১৯ জেলাসহ ২১ জেলার মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে ভোর থেকে ভিন্নচিত্র দেখা গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই স্বাভাবিক দিনের মতোই চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন, খোলা ট্রাক ও পিকআপ। এছাড়া নিয়মিত বিরতিতে মহাসড়কে দেখা যাচ্ছে বন্ধ থাকা দূরপাল্লার গণপরিবহনও।





তবে রাতের দিকে মহাসড়কে বাসের সংখ্যা বেশি ছিল। আর যেসব বাস, ট্রাক, মিনি ট্রাক বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ভোরে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে সেগুলোও মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা যায়।
মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ি চালকরা জানান, রাতে প্রশাসনের তেমন নজরদারি থাকে না। অনেক সময় মানবতার খাতিরে গাড়ি ছেড়ে দেয়। এ কারণে রাতে পরিবহন চালানো সুবিধা। তবে দিনের বেলায় প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকে। ফলে জেল-জরিমানার ভয় থাকে।





বগুড়াগামী ট্রাকচালক রহিজ উদ্দিন জানান, জীবিকার তাগিদে এভাবেই লুকোচুরি করে পরিবহন চলাতে হবে। না হলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। লকডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকলে পোলাপানদের কী খাওয়াব। লুকিয়ে লুকিয়ে এই ছোট পিক-আপে পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।
চালক ও যাত্রীরা জানান, দিনের বেলায় প্রশাসনের নজরদারি থাকায় মধ্যরাতের পর তারা ঢাকা ছেড়েছেন। পথিমধ্যে তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি বলেও তারা জানান।
এদিকে মহাসড়কে বাস চলাচল করছে না দাবি করে হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে। চেকপোস্টগুলো থেকে নিয়মিতই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে আর কিছু গাড়িকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।





এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, ভোরে হয়তো বাস চলাচল করতে পারে। তবে সেগুলো ফাঁকা ছিল। এখন মহাসড়কে এ ধরনের পরিবহন নেই। যাত্রীবাহী কোনো পরিবহন দেখলেই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। চেকপোস্টে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন।