উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে সরকার। শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারে এক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (বিএনএফই) মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান।
বিএনএফই মহাপরিচালক রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবনের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ব্র্যাকের এ ব্যাপারে যে ব্যাপক কার্যক্রম আছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। সংস্থাটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬৯ হাজার ৪২৩ জন ছেলে-মেয়েকে এর আওতায় এনেছে। এর পাশাপাশি হোস্ট কমিউনিটিতে ৩ হাজার ৭৫৯ সংখ্যক শিশুদের মাঝে কাজ করছে সংস্থাটি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনএফই’র উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. রিপন কবীর লস্কর, ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান, একই কর্মসূচির চিফ অব পার্টি মো. মাহমুদ হাছান, ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) আওতাধীন শিক্ষা সেক্টরের লিড খান মোহাম্মদ ফেরদৌস ও অন্য কর্মকর্তারা।
এর আগে সকালে বিএনএফই মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান কক্সবাজারের কুতুপালংয়ের ১৫ ও ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার’ পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সঙ্গে ব্র্যাকের সম্পর্ক ১৯৮৫ সাল থেকে। দীর্ঘ সম্পর্কের কারণে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার ব্র্যাকের পাশে থাকবে। এক্ষেত্রে যতো ধরনের সহযোগিতা দেওয়া দরকার সরকারের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হবে। ব্র্যাকও সরকারের সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবে বলে আমি আশা করছি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে এইচসিএমপির আওতাধীন শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর লিড খান মোহাম্মদ ফেরদৌস। এতে বলা হয়, ব্র্যাক এই পর্যন্ত রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে ৭৩ হাজার ১৮২ জন ছেলে-মেয়েদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় এনেছে। ব্র্যাকের লক্ষ্য ভবিষ্যতে এক হাজার সেন্টারের মাধ্যমে এক লাখ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এই ধরনের শিক্ষার আওতায় আনা।