নব্বইয়ের দশকে বলিউড থেকে টলিউড সমস্ত জায়গাতে একাই রাজত্ব করেছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। ছোট থেকে বড় সকলেই তাকে এক নামে চেনে। এক সময় অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে ফাঁকা পকেটেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি।
প্রত্যেক পরিচালক ও প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরে বর্তমানে অভিনয় জগতের শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। কিন্তু তার পুত্র মিমোর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা পুরোপুরি আলাদা।
মিঠুন পুত্র মিমো চক্রবর্তী একের পর এক বড় পর্দার সুযোগ পেয়েও পারেননি নিজেকে একজন সাফল্যমন্ডিত অভিনেতাতে পরিণত করতে।
তাকে দেখেই বোঝা যায় যে রাজার পুত্র সর্বদা রাজা হয় না। মিঠুন পুত্র হয়ে একের পর এক ট্রল এবং সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাকে। একটি বাদে বাকি সমস্ত ছবি রয়েছে ফ্লপ এর তালিকায়।
প্রধান চরিত্র হিসেবে 2011 সালে প্রথম ‘হান্টেড’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। প্রথম ছবিটি হিট হলেও বাকি সমস্ত ছবি ফ্লপ হয়েছে। বারংবার বাবার সাথে তুলনা করার ফলে একসময় ডিপ্রেশনে ভুগেছিলেন তিনি। এরপর তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ওঠায় মন ভেঙে ছিল তার। 2015 সালে মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা।
মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে সফট ড্রিঙ্কে মাদকদ্রব্য মিশিয়ে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন তিনি সেই মহিলাকে। পরবর্তীকালে সবকিছু থেকে বেরিয়ে 2018 সালে অভিনেত্রী মাদালসা শর্মার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বারংবার নিজেকে বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে গেছেন মিমো। সম্প্রতি মুক্তি পেল তার ছবি ‘ম্যায় মুলায়ম সিং যাদব’।